say of Islam ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম ।আমরা যদি আমাদের জীবনে চলার পথে ইসলামকে আর্দশ হিসেবে বেছে নেই তা হলে আমাদের জীবন অনেক সুন্দর ভাবে পরিচালনা করতে পারি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সোঃ) তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি অনেক কষ্ঠ ,তিব্য লানচনা সহ্য করেছেন ।তিনি মহামানবের পরিচয় তুলে ধরেছেন।আমাদের প্রিয় নবী বলেছেন যে আমরা যদি তার দেখানো পথে চলি তাহলে তিনি আমাদের শেষ বিচারের কালে তিনি আমাদের জন্য সুপারিস করবেন। আর তিনি যদি আমাদের জন্য সুপারিস করে তা হলে আমাদের জীবন সার্থক হয়ে যাবে।তিনি আমাদের কে ইসলামি শরিয়াত মোতাবে কীভাবে জীবন পরিচালনা করতে হবে তিনি তা তার হাদিস শরিফে বলে গেছেন।আমাদেরকে কি করে আমাদের জীবন পরিচালনা করতে হবে তা আমরা আমাদের পবিত্র কিতাব আল-কোরানে বলা আছে।কোরান হচ্ছে সবচেয়ে বড় ধর্ম গ্রহন্ত।যা আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সোঃ) এর উপর যা সবচেয়ে বড় আসমানি কিতাবএবং সর্ব শেষ কিতাব।আমরা যে কত ভাগ্য বান উম্মাত যে আমরা শেষ নবীর উম্মত যে নবীর উম্মাত হবার জন্য কত নবী রাসুল আল্লাহ তালার কাছে ফরিয়াদ করেছে।আমাদের নবী সত্যের প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন আর তিনি তা করে গিয়েছেন তার উম্মত হিসেবে উচিত আমাদের ও সত্যের পথেচলা উচিদ।
সত্যের প্রতিষ্ঠা, মিথ্যা থেকে দৃরে থাকার সৎ-পুতঃ পবিত্র নীতিতে অটল থাকা , হারাম থেকে বেঁচে থাকাই প্রকৃত আর্দশ যা ইসলাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছে।দৃর্বল নীরিহ , এতিম , বৃদ্বা , নাবালক তথা কম জোড় ব্যক্তিবর্গ-সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের , মানুষদের উপর অন্যায় -অত্যাচার চাপিয়ে যে শোষন করেছিল তা আর্দশও মুক্ত করে শোষনমুক্ত সমাজ বির্নিমানে ইসলামের অঙ্গিকার যেমন ছিল তা যুগেযুগে অসংখ্য নবী-রাসৃলগন আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন এবং তারা তা প্রতিষ্ঠা করে জাজ্ব্যল্য প্রমান রেখে গেছেন তা আজও বহমান কেয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে ইনশাল্লাহ।
ইসলামের আগমনের পৃর্বে জাহিলিয়াতের যুগে আরব সমাজ কোন কোন জন্তকে নাপাক মনে করে এবং কোর কোনটিকে দেবদেবীর নৈকটৎ লাভ ও কুসংস্কার অনুসরনের দরুন নিজেদের জন্যে হারাম করে নিয়েছে।বহীরা , সায়েবা , অসীলা ও হাম প্রভৃতি এ পর্যায়ে হারাম জন্তও মৃত জীব এ বহমাস রক্ত প্রভৃতি অনেক নাপাক জিনিসই জায়েয ও হালাল ঘোষনা করেছিল।ইসলাম আগামনের কালে আরব দেশের লোকেরা পাশব খাদ্যের ব্যাপারে নানাভাবে বিপরীত চিন্তায় জর্জরিত ছিল। এ কারনে সমগ্র মানুষেকে সম্বোধন করে ইসলামের ঘোষনা ছিল হে জনগন , জমিনে যে সব জিনিস হালাল পবিত্র তা ভক্ষন কর এবং শয়তানের পদাংক অনুসরন করো না।কেননা শয়তান তোমাদের জন্যে প্রকাশ্য শত্রু।(সুরা বাকারা ঃ ১৬৮)
ইসলাম সর্ব সাধারন নির্বিশেষে আহবান জানিয়ে বলেছেন , হে লোকেরা , পৃথিবীর িএই বিশাল -বিস্তীর্ন দস্তরখানা থেকে পবিত্র উৎকৃষ্ট জিনিস গুলি খাদ্যহিসেবে গ্রহন করো।আর শয়তানের দেখানো পথে আদৌ চলবে না।অত:পর মুমিনদের প্রতি বিশেষ ভাবে সম্বোধন করে বলা হয়েছে হে ইমানদার লোকেরা !আমরা তোমাদেরকে যেসব জিনিস রিযিক স্বরুপ দিয়েছি তোমরা তা খাও ও আল্লাহর শোকর করো যদি তোমারা বিশেষ ও ত্রকান্ত ভাবে তারই বন্দেগী করতে প্রস্তুত হয়ে থাকো।শয়তান তো তোমাদের জন্যে শুধু মৃত বস্ত , রক্ত ও শুকরের গোশত ত্রবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবেহ দেয়া জন্তু হারাম করে দিয়েছে। এতে করে মুমিনের খাদ্যের ফয়সালা্ হলো ত্রবং আর্দশ মতে খাদ্য গ্রহন শুরু হলো।সূরা আল-মায়িদায় এসকব হারাম জিনিসের বিবরন পেশ করার পর বলা হয়েছে তোমাদের প্রতি মৃত জীব , রক্ত ,শূকরের মাংস যা আল্লাহ ছাড়া অন্য দেবদেবীর জন্যে উৎসর্গীকৃত হয়েছে , যা গলায় ফাস লেগে মরেছে , যা আঘাত পেয়ে মরেছে , যা উপর থেকে পরে গিয়ে মরেছে , যা শিং-এর গুতা খেয়ে মরেছে ,যা কোন হিংস্র জানোয়ারের কর্তৃক ছিন্নভিন্ন্ হয়েছে এসব জন্তুর আসলে মৃত , মৃতেরই বিভিন্ন রুপমাত্র।
ইসলামের পৃর্বে লোকেরা হারামকে হালাল মনে করে নিয়েছিল।এ ব্যাপারে মুশরিক , ইয়াহূদী ও খ্রীষ্টান সকলের দৃষ্টি কোন ছিল সম্পূর্ন অভিন্ন ইসলামিক আর্দশ , তথা হালাল -হারাম চিনা ত্রবং তা মেনে চলাই মুমিনের উচিত ।ভারতীয় ব্রক্ষন্যবাদ ও খ্রীষ্টান বৈরাগ্যবাদ পৌছে গিয়েছিল চরমে। যেসব ধর্ম মতে দেহকে কষ্ট ও পীড়ন দান বৈদ ছিল , উত্তম খাদ্য - বস্ত্র ও অলংকার চাকচিক্য মন্ডিত জিনিসপত্র ব্যবহার করাকে হারাম ঘোষনা করেছিল , তাও ছিল চরমেই উপনীত , কোন কোন বৈষ্ঞ-বৈরাগীর মতে পা ধোয়া ত্রবং গোসল করাও গুনাহের কাজ রুপে নির্দিষ্ট হয়েছিল।ইসলাম সামাজে সংস্করন ও দূর্ব
লদের প্রতি শোষন মুক্ততার করার কাজটি খুব সহজ ছিল না ।এতে করে সামাজের লোকেদের ভাগ করে নেয় হয়।এক ভাগের লোকেদের সর্ম্পকে বলা যায় , পাশ্চাত্য সভ্যতা ও সাংস্কৃতির চাকচিকে তাদের চোখ ঝলসে গেছে।এগুলোকে তারা এক বিরাট দেবতা গন্য করে।প্রতিকৃতি , ছবি , প্রতিমৃর্তি , জীবের ভাশ্কর্য , সুদী ব্যবসায় ও ভিন্ন স্ত্রীলোকের সাথে নিভৃত নিবির সাক্ষাতকার , নারীদের নারীত্ব থেকে বিদ্রোহ এবং পুরুষদের স্বর্ন - রৌপ্যের ভুষন , জীবন্ত মেয়ে সন্তানকে মাটিতে পুতে ফেলা , মদ্য পান , সন্তাদের পৃথিবীতে আসবার আগেই মেরে ফেলা জাহিলিয়াতের যুগ হতেউ বেশীপরিলক্ষত হয় যা বিশ্ব নবী সরকারের কায়েনাত হয়রত মুহাম্মাদ (সাঃ) দৃঢ় ভাবে বন্ধ করতে সচেতন হয়েছিলেন , কারন সে আমলে কোন জেলখানা ছিল না এতে করে প্রমানিত হয় কোন ব্যক্তি দোষ করত না যার ফল জেলখানায় যেতে হতো না।
মাহান আল্লাহকেই আমরা রব স্বীকার করেছি, ইসলামকে আমার জীবনের পূর্নাঙ্গ বিধানরুপে মেনে নিয়েছি এবং বিশ্বাস করেছি মুহাম্মাদ (সাঃ) ই আল্লাহর শেষ রাসূল তবেই সর্বোত্তম সমাজ তথা রাষ্ট্র পেয়ে যাব ইনশাল্লাহ । আমার বিবেক - বুদ্বি যেহেতু এখনও জাগ্রত , সচেতন , এ কারনে কোন একটি ফকীর মাযহাবকেই আমি সকল বিষয়ের চূড়ান্ত বলে স্বীকার করে নিতে পারি না। কেননা তা যেমন নির্ভুল হতে পারে , তেমনি তা ভুল হওয়ার আমংকা হেকেও সম্পূর্ন মুক্ত নয়।
ইমাম আবনুল জাওজী বলেছেন , অন্দ অনুসরন কারী একতা নির্ভর যোগ্য ভিত্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে ।আর তাতে বিবেককে সর্ম্পন অকেজো করে রাখা হয় ।অন্ধ অনুসরনের নীতি গ্রহন করা হলে এ মহৎ ইসলাম নবীজী (সাঃ) মহৎ গুন , যাকদীয় কল্যান থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা হয়।ইসলাম হচ্ছে আলোর মশাল।আর এই মশাল যদি নিভিয়ে অন্ধকারে পথ চলে , তবে এ হাস্যকর আচরন যুক্তিসঙ্গত বলে বিবেচিত হতে পারে না । হযরত ইসা (আঃ) বনী ইসরাঈলদের লক্ষ্য করে বলেছিলেন , কুরআনে তা উদ্বৃত হয়েছে আমার পূর্ববর্তী তাওরাতের সত্যতা ঘোষনাকারী এবং আমি তোমাদের জন্য হালাল করে দিব এমন কিছূ জিনিস , যা তোমাদের প্রতি হারাম করে দেয়া হয়েছিল জরে দ্বীন ইসলাম যখন অবর্তীর্ন হল তখন মানবতা সামাজিক রিতী নীঅতি পূর্নতা লাভ করেছে তা নবুয়্যাত ও রিসালাতের সর্বশেষ আবদার গ্রহনের জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠেছিল।হযরত আলী (রাঃ) নীতি কথা হিসেবে বলে ছিলেন লোকদের দেখে এবং তারই ভিত্তিতে খোজ কর সেই সত্যের ধারক লোকদের ।ইমাম মালিক (রাঃ) বলেছেন নবী করিম (সাঃ) ব্যাতীত অন্য সব মানুষের মর্যাদাই হচ্ছে এই যে তার কথার কিছু অংশ গ্রহনও করা যায় বর্জন ও করা যায়। রাসূল নিজেও বলেন নিঃসন্দেহে আমি সুপরিসিল রহমাত মাএ।নবীজির নবুয়্যাতের পূর্বেও তার ঔশ্বর্যশীল ব্যবহারের মুগ্দ হয়ে সকলেই তাকে আল - আমিন বলতেন এবং নানা বিষয়ে পরামর্শ নিতেন।ওয়াহী নাযিলের পরই আমাদের প্রিয় রাসূল (সাঃ) আসলামের প্রতি মানুষকে ডাকতে শুরু করলেন।
জনগনকে তিনি বলেন ঃ
(১) আল্লাহ এক তাঁর কোন শরীক নেই। কোন স্ত্রী সন্তান ও পিতা-মাতা ও নেই তাঁর। কেউ তাঁর সমকক্ষ নয় আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য নক্ষত্ররাজি সমস্ত কিছুই তাঁর সৃষ্টি। শস্য-ফল-মূল,বৃক্ষ-তরু-লতা তিনিই সৃষ্টি করেছেন, জীবন-মৃত্যু, সুখ ও দুখ কেবল তিনিই দেন , সুতরাং তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই।
(২) ফেরেশতাকুল আল্লাহর এমন এক সৃষ্টি-যারা আমাদের গোচরীভূত নয়। দিবানিশি তারা আল্লাহরই ইবাদত করে এবং আদেশ-নিষেধ পালন রত রয়েছে। তাঁদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন অপরিহার্য-ফরয।
(৩) এই পৃথিবীতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আগে যতো নবী-রাসূর আগমন করেছেন তারা সকরেই ছিরেন সত্যবাদী ও আল্লাহ তাআলা প্রেরিত পুরুষ। তাদের প্রত্যেককে মেনে নেয়া-ফরয।
(৪) আল্লাহ তাআলা তাঁর রাসূরগণকে যেসব কিতাব দান করেছেন সেগুলোও সঠিক এবং বিশ্বাস করা-ফরয।
(৫) মৃত্যুর পরে প্রত্যেক ব্যক্তিই জিন্দা হবে আর কিয়ামত দিবসে আল্লাহর সামনে ভালো-মন্দ কর্মের প্রতিফল প্রধান করা হবে।
নবুয়্যাত প্রাপ্তির চর্তুত বছরে আল্লাহ প্রিয় রাসূলের প্রতি আদেশ পাঠালেন কাফিরদের বিরোধিতার আর কোন পরোয়া না করতে এবং মানুষের কাছে আসলাম পয়গামবার পৌছে দাও।সুতরাং বুঝা যায় কিরকম বিভৎস অবস্থা হতে ইসলাম সমাজকে সুষাশন শোষন থেকে সরিয়ে আনার প্রচেষ্টা করে । নবুয়্যাতের ষষ্ঠ বর্ষ প্রভাবশালি দুজন কুরায়শ নেতা ও মযাদাবান তেজস্বী পুরুষ হামযা (রাঃ) এবং উমর (রা) ইসলামের আর্দশ এবং নবীজীর চরিত্রে মুগ্দ হয়েইসলাম গ্রহন করেন।নবীজী ইসলাম অতিকষ্টে প্রতিষ্ঠা করেন বদরের যুদ্বে উহুদের যদদ্ব কুরাইসীর যুদ্ব খন্দকের যুদ্ব খায়বারের যুদ্ব মুতার যুদ্ব হোনাইনের যুদ্ব তাবুকের যুদ্ব ইহুদী কাফিরদের স্মর যন্ত্র ইত্যাদি নানা কষ্ট অতিক্রম করে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করে এছাড়া নবীজীর ব্যবহার ও চরিত্র গুনাবলী ত্রতই মধুর ও অনুপম ছিল যে শত্রুরা পর্যন্ত তা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারতো না।তিনি বলেন তোমাদের মধ্যে সেই ভালো চরিত্রভালোতিনি ছিলেন সাহায্যকারী।ইসলামের আর্দশ হচ্ছেনবীজীর আদর্শ।আয়াতীম,মিসকিন,নঃস্ব,বিধবাদের সাহয্যকারী,শিশুদের ভালোবাসা ,মেহমানকে সম্মান
করা ,রুগীদের সেবা,ক্ঞান অর্জনে তাগীদ,পবিত্রতা ও পরিচ্ছনতা অর্জনে ইৎসাহ,সৎকর্মের উপদেশ,নামাজ কায়েম,রোযা রাখা ,হজ্জ পালন করা ,যাকাত
আদায় ,এক কথায় মানসিক গুনাবলী ও উত্তম আর্দশ ইসলাম এবং নবীজীর মাদ্যমে পরিপূর্নতা পেয়েছে।সত্যবাদিতা ওয়াদা পালন ,গোলাম ও খাদেমদের প্রতি দয়া,জীবজন্ত,নারী গরীব,নিরাশ্রম,আর্ত পীড়িত ,মানুষের পাশেথাকার মতো ভালে কাজ গুলিইসলামিক আর্দশ অন্তগর্ত।এবং নবীজীর শেষ সময়ের পর খলীফা হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রঃ),হযরত ওমর(রঃ),হযরত ওসমান(রঃ)এবং হযরত আলী (রঃ)নবীজির দেখানো পথে ইসলামীক আর্দশ মতেসারা ইসলামকে একচটি সর্বজন গৃহিত ধর্মে পরিনত করেন।বস্তত ইসলামে হালাল হারামের চিন্তা অত্যন্ত সহজ সরল কিন্তু কাফির ,মুশরিক ,মুরতাদ ,মুনাফিক যে শোষন করেছিল অত্যচারী ভাবে দূবলদের উপর দা ইসলামের বিধি নিশেধ দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছে।আমরা জদি আমাদের জীবরে ইসলামের পথে চলতে পারি আমাদের পুরো জীবন বদলে যাবে।আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) তার পুরো জীবন উম্মাতের জন্য কান্না করনছেন এবং তার উম্মাতের নাজাতের জন্য আল্লাহর কাছে প্রথনা করবে। সব শেষ একটি কথা বলবো ভাই আমরা ডা কিছু করি না কেন নামাজ আদায় করবো পাচ ওয়াক্ত ইনসআল্লাহ।
লেখক মো ঃ আসিফ ইকবাল
No comments:
Post a Comment
md jahirul islam